চার্লস এম শুল্জ: সাধারণের মাঝেও অসাধারণ সৃজনশীল এক শিল্পী
https://bd.toonsmag.com/2019/09/blog-post_23.html
স্কুলের প্রতিটি ক্লাসেই হাতে গোণা মাত্র কয়েকজন ছাত্রছাত্রী
থাকে যারা একই সাথে মেধাবী ও প্রাণচঞ্চল; অন্যদিকে, এমনও কয়েকজন থাকে যারা ঠিক প্রাণচঞ্চল
না হলেও অত্যন্ত তুখোড় মাত্রার মেধাবী হয়ে থাকে। চার্লস এম শুল্জ এই দ্বিতীয় দলেরই
সদস্য ছিলেন; এর অর্থ এই না যে তিনি ঠিক প্রাণচঞ্চল ছিলেন না, কিন্তু তিনি জনপ্রিয়
ছিলেন না মোটেও। আর ছাত্রজীবনের এই বিশেষত্ব থেকেই তিনি তার কর্মজীবনের সবচেয়ে সফল
কাজটি করার অনুপ্রেরণা লাভ করেন যা তাকে একজন কিংবদন্তীতে পরিণত করেছে। ‘পিনাটস্’-
বিশেষত, সমাজের সেসকল মানুষের জীবনকে উপস্থাপন করে যারা খুব সাধারণ সমস্যায় জর্জরিত
একটি সাধারণ জীবনযাপন করে এবং যাই ঘটুক না কেন, কখনই হাল ছাড়ে না।
প্রাথমিক জীবন
এক কথায় বলতে গেলে, চার্লস এম শুল্জ ছিলেন মূলত একজন ইলাস্ট্রেটর
বা আঁকিয়ে। কিন্তু তার কীর্তি শুধুমাত্র একজন আঁকিয়ের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা,
বরং তাকে একজন কিংবদন্তীর উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। চার্লস মনরো শুল্জ এর জন্ম হয় ১৯২২
সালের নভেম্বরের ২৬ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা’র মিনেপোলিস এ; আর মৃত্যু হয় ২০০০
সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দেশটির ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলের সান্তা রোজা’তে। জার্মান অভিবাসী
বাবা কার্ল পেশায় ছিলেন একজন নরসুন্দর এবং মা ডেনা প্রাথমিক জীবনে একজন ওয়েট্রেস হিসেবে
কাজ করলেও পরবর্তীতে একজন গৃহিণীর ভূমিকাতেই ছিলেন। চার্লস তার বাবা-মায়ের একমাত্র
সন্তান ছিলেন। তার ছেলেবেলার বেশির ভাগ সময় কাটে টুইন সিটিতে। সেখানে তিনি ‘সেন্ট
পল্স সেন্ট্রাল হাই স্কুল’ এ পড়ালেখা করেন।
অন্য সকল প্রতিভাবান ব্যক্তিদের মতই তার প্রতিভার পরিচয়ও
বেশ ছোটবেলাতেই পাওয়া যায়। প্রতি সপ্তাহে বাবার সাথে সংবাদপত্র পড়ার সময়ে তার নিয়মিত
পাঠের তালিকায় থাকত- ই.সি. সেগার এর ‘থিম্বল থিয়েটার’ (পপাই), পার্সি ক্রসবি’র ‘স্কিপ্পি’
এবং অ্যাল ক্যাপ্স এর ‘লি’ল অ্যাবনার’। ১৯৩৭ সালে রবার্ট রিপ্লী’র বিখ্যাত ‘বিলিভ ইট
অর নট!’ এ প্রথমবারের মত তার আঁকা কোনো ছবি প্রকাশিত হয়- যা ছিল সাধারণ পাঠকদের সাথে
তার কাজের প্রথম পরিচয়। সেই ছবিটি ছিল তার পোষা কুকুর স্পাইক এর। স্কুলের সিনিয়র ইয়ারে
থাকা অবস্থায় তিনি মিনেপোলিস এর ‘ফেডারেল স্কুল অফ অ্যাপ্লাইড কার্টুনিং’ এ করেসপন্ডেন্স
এর মাধ্যমে বা একজন পরোক্ষ ছাত্র হিসিবে কার্টুনিং বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভ শুরু
করেন। বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট কাজ করে জীবন ধারণের পাশাপাশি তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন
প্রকাশনীতে তার আঁকা ছবি প্রকাশ করার জন্য পাঠাতে থাকনে, কিন্তু ১৯৪২ সালে বাধ্য হয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ফলে তার এই প্রচেষ্টায় ছেদ পরে।
পিনাটস্ এর আবির্ভাব
comics.ha.com |
“প্রতিদিন অসংখ্য
মানুষের কাছ থেকে পাওয়া চিঠিতে ‘আপনি কেন আমাদের জন্য সুখকর গল্প তৈরি করেন না? কেন
চার্লি ব্রাউনকে সব সময় হারতেই হবে? কেন আপনি তাকে ফুটবলে লাথি মারতে দেন না?’- এই
ধরনের প্রশ্ন দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। ব্যাপারটা এই যে, যে মানুষটা ফুটবলে লাথি মারার
সুযোগ পায়, তার বিষয়ে মজার কোনো গল্প তৈরি করা যায় না।”
- - চার্লস শুল্জ
সেনাবাহিনীতে নিজের কর্মগুণে চার্লস যথেষ্ট সফলতা ও সুনাম
অর্জন করলেও, তিনি কখনই কার্টুন জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি। সেনাবাহিনীতে
কর্মরত অবস্থায় তিনি, সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ‘স্টার এণ্ড স্ট্রাইপ্স’ এর জন্য বিল মল্ডিন
এর তৈরি ‘উইলি’ এবং ‘জো’ নামের দু’টি চরিত্রের ভক্ত হয়ে পরেন। সেনাবাহিনী থেকে ফিরে
এসে তিনি তার প্রাক্তন কার্টুনিং স্কুলে একজন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এটি ছিল তার
নিজের দক্ষতাকে আরও শাণিত করে নেওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ।
১৯৪৭ সাল ছিল চার্লস এম শুল্জের কার্টুনিং কর্মজীবনের
একটি উল্লেখযোগ্য বছর। সে বছরের শুরুতেই তার আঁকা একটি ছবি প্রথমবারের প্রকাশিত হয়।
আর ঐ একই বছরে ‘লি’ল ফোক্স’ নামে ‘সেন্ট পল পাইওনীয়ার প্রেস’ এ তার তৈরি কার্টুন এর
নিয়মিত সাপ্তাহিক প্যানেল প্রকাশ হওয়া শুরু হয়। এই কার্টুনটি ছিল মূলত চার্লসের ব্যক্তিগত
জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই কার্টুন স্ট্রিপের মাধ্যমে তিনি- তিন বছর, চার বছর
ও পাঁচ বছর বয়সী কিছু চরিত্রকে উপস্থাপন করেন- যারা ছিল কতকটা তার আত্মজীবনীর চরিত্রের
মতই। এই স্ট্রিপে অতি শীঘ্র বিখ্যাত হতে যাওয়া তার তৈরি দু’টি প্রধান চরিত্র ‘চার্লি
ব্রাউন’ ও ‘স্নুপি’ কে পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হয়। পরের বছর ‘দ্য স্যাটার্ডে ইভনিং পোস্ট’
এ তার তৈরি প্রথম কার্টুনের মধ্যে মোট ১৭ টি প্রকাশিত হয়। ‘ইউনাইটেড ফিচার সিণ্ডিকেট’
১৯৫০ সালে ‘লি’ল ফোক্স’ নামক তার এই কার্টুন স্ট্রিপ কিনে নেয় যা ছিল তার কর্মজীবনের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ঘটনা; তবে, একই নামের অন্যান্য কার্টুন স্ট্রিপের
সাথে সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য, অনিচ্ছা থাকা সত্বেও শুল্জ তার এই স্ট্রিপের নাম পরিবর্তন
করে রাখেন ‘পিনাটস্’।
বৈচিত্র্যময় পিনাটস্
pbs.org |
“আমার জীবনের কোনো
নির্দিষ্ট উদ্দ্যেশ্য নেই… আমার জীবনের কোনো দিক-নির্দেশনা নেই… নেই কোনো অর্থ… নেই
কোনো লক্ষ্য… আর এরপরেও, আমি সুখি। আমি বুঝতে পারছি না… আমি আসলে কোন কাজটা সঠিক করছি?”
- - চার্লি ব্রাউন,
পিনাটস্
পিনাটস্ এর প্রতিটি চরিত্রের সাথেই আমাদের দৈনন্দিন সাধারণ
জীবনের বিভিন্ন চরিত্রের কোনো না কোনো সাদৃশ্য রয়েছে। কিছুটা অদ্ভুত, কিন্তু যথেষ্ট
সাধারণ এই চরিত্রগুলি খুব দ্রুত পাঠকদের মনে চিরস্থায়ীভাবে ভালবাসার স্থান গড়ে নিতে
সক্ষম হয়। যদিও পিনাটস্ নামের এই কার্টুনটির মূল গল্প চার্লি ব্রাউনকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে,
তবে এই কার্টুনটিকে এর জনপ্রিয়তা লাভ করানোর পেছনে প্রতিটি চরিত্রেরই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা
রয়েছে। চার্লি ব্রাউন হল ক্লাসের সেই অখ্যাত, প্রায় অদৃশ্য একজন ছাত্র। সে কখনই ফুটবলে
লাথি মারার সুযোগ পায় না। আর ওড়ানোর সময়ে তার ঘুড়িটি প্রতিবার কোনো এক গাছে আটকে যায়।
তার জীবন কাহিনী দেখতে বেশ মজার হলেও, কেউই ঠিক তার মত হতে চায় না; অথচ, আমাদের সকলেই
জীবনের কোনো না কোনো সময়ে চার্লির মত কোনো এক পরিস্থিতির সম্মুক্ষীণ হয়েছি।
অন্যান্য জনপ্রিয় চরিত্রগুলি হল চার্লির ছোট বোন স্যালী,
দেমাগী ও দাপুটে লুসি, লুসি’র ভাই লাইনাস যে সর্বত্র তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে
একটি ‘প্রহরী কম্বল’ সাথে নিয়ে যায়, আরও রয়েছে শ্রুডার যে একনিষ্ঠভাবে তার খেলনা পিয়ানোতে
বিথোভেন এর সুর তোলায় সব সময় মগ্ন হয়ে থাকে। চার্লির মতই এই কার্টুন ধারাবাহিকের আরও
একটি শীর্ষস্থানীয় চরিত্র হল ‘স্নুপি’ নামের কুকুর, যে তার জন্য নির্ধারিত বাড়ির উপরে
ঘুমায় এবং স্বপ্নের মধ্যে তার কাল্পনিক শত্রু রেড ব্যারনের সাথে যুদ্ধ করে। চার্লসের
নিজের পোষা কুকুর স্পাইক এর সাথে মিল রেখেই স্নুপি’কে তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রকৃত
নামেই আরও একটি কুকুরের চরিত্রকে এই কার্টুন স্ট্রিপে স্নুপি’র ভাই হিসেবে যোগ করা
হয়। এখানে দেখানো হয় যে লুসি সব সময় চার্লির কাছ থেকে ফুটবলটি ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনাটি
চার্লসের ছোটবেলার ঘটনার ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়। এছাড়া লাল চুলওয়ালা আরও একটি
মেয়েকে দেখানো হয় এখানে, যার কারণে চার্লির মনে কোনোভাবে প্রেম বিষয়ক অনীহা গড়ে উঠেছে।
বস্তুত এই লাল চুলওয়ালা মেয়েটি ছিল চার্লস এর এক প্রাক্তন প্রেমিকার প্রতীকি রূপ, যাকে
তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখাত হয়।
পিনাটস্ এর যাত্রা
“উঁচু মানের প্রতিভার
চেয়ে বড় কোনো বোঝা আর হয়না।”
- - লাইনাস,
পিনাটস্
১৯৫৫ সালে প্রথম
ও ১৯৬৪ সালে দ্বিতীয় বারের মত পিনাটস্ নির্মাণের স্বীকৃতি হিসেবে চার্লস, ‘দ্য রুবেন
অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যাণ্ডিং কার্টুনিস্ট’ লাভ করেন। রোড আইল্যাণ্ড স্কুল অফ ডিজাইন
এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটা তেও পিনাটস্ প্রদর্শিত হয়েছিল। ইয়েল ইউনিভার্সিটি, চার্লস
এম শুল্জ’কে প্রতিষ্ঠানটির ‘হিউমারিস্ট অফ দ্য ইয়ার’ সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৬০ সাল
নাগাদ হলমার্ক এর শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য তৈরি করা কার্ড ও ফোর্ড অটোমোবিল এর বিজ্ঞাপণে
চার্লি ব্রাউন, স্নুপি’দের ব্যবহার করা শুরু হয়।
time.com |
১৯৬০ এর দশকে একটি ডক্যুমেন্টারি নির্মাণের বিষয়ে চার্লস
এর সাথে লী মেণ্ডেলসন এর পরিচয় ঘটে। যদিও সেই ডক্যুমেন্টারিটি কখনো টিভিতে দেখানো হয়নি,
কিন্তু এই পরিচয়ের সূত্র ধরেই ১৯৬৫ সালে ‘অ্যা চার্লি ব্রাউন ক্রিসমাস’ নামে টেলিভিশনের
জন্য একটি অনুষ্ঠান নির্মাণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে এই অনুষ্ঠানটি একটি ‘এমি’ ও একটি ‘পীবডি
অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করে। একই বছরে ‘চার্লি ব্রাউনস্ অল স্টারস্’ ও ‘ইটস্ দ্য গ্রেট পামকিন,
চার্লি ব্রাউন’ টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি, বিল মেলেণ্ডেজ এর অ্যানিমেশন
এবং জ্যাজ সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ভিন্স গ্যারাল্ডি এর তৈরি করা সুর- ব্যবহার করে তৈরি
করা হয়। পিনাটস্ এর এই চরিত্রগুলি টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেও প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ সালে
‘ইউ আর অ্যা গুড ম্যান, চার্লি ব্রাউন’ নিউ ইয়র্ক সিটিতে মঞ্চস্থ করা হয়। দুই বছর পরে,
১৯৬৯ সালে রেডিও সিটি মিউজিক হলে ‘অ্যা বয় নেমড চার্লি ব্রাউন’ ফিচার চলচ্চিত্রের আকারে
প্রদর্শিত হয়।
সময়ের সাথে সাথে- পেপারমিন্ট প্যাটি, মার্সি ও পিনাটস্
এর প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান চরিত্র ফ্র্যাঙ্কলিন- এর মত নতুন নতুন চরিত্রের উপস্থাপনা
করা হয়। কাহিনী ও চরিত্রের প্রসারের পাশাপাশি টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও কমিক স্ট্রিপেরও
প্রসার ঘটে। ‘স্নুপি কাম হোম’ ও ‘বন ভয়াজ, চার্লি ব্রাউন (এণ্ড ডোন্ট কাম ব্যাক!!)’
নামে যথাক্রমে ১৯৭২ ও ১৯৮০ সালে আরও দু’টি ফিচার দৈর্ঘ্যের শো নির্মিত হয়।
শেষ জীবন
en.wikipedia.org |
চার্লস শুল্জ মোট ৪ বার বাইপাস সার্জারী করাতে বাধ্য হন
এবং এর পরেও ১৯৮১ সালে তার কার্টুন স্ট্রিপের আঁকার কাজটির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজেই
পালন করেন, এমনকি হাত-কাঁপার সমস্যা দেখা দেওয়ার পরও; তবে তিনি খুব বেশিদিন কাজ চালিয়ে
যেতে পারেননি। ১৯৯৯ সালে কোলন ক্যান্সার ধরা পরলে তিনি অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। দুর্ভাগ্যজনক
ব্যাপার এই যে, পিনাটস্ কার্টুনের সর্বশেষ প্রকাশনার ঠিক আগের দিন রাতেই তিনি শেষ নি:শ্বাস
ত্যাগ করেন। ততদিনে পিনাটস্ ৭৫ টি দেশের প্রায় ২,৬০০ সংবাদপত্রে মোট ২১ টি ভাষায় প্রকাশিত
হচ্ছিল। প্রায় ৫০ বছরের কর্মজীবনে চার্লস ১৮,০০০ এরও বেশি কার্টুন স্ট্রিপ তৈরি করেছিলেন।
তার সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে চার্লস বেশ কয়েকটি মরণোত্তর
পুরস্কার লাভ করেন। সেগুলোর মধ্যে ‘কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল’ উল্লেখযোগ্য। ২০১৫ সালের
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তিনি ‘ক্যালিফোর্নিয়া হল অফ ফেম’ এর অন্তর্ভুক্ত হন, এই সময়টা
ছিল পিনাটস্ এর ৬৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’র কাছেই এবং পিনাটস্ থ্রিডি চলচ্চিত্র মুক্তির
এক মাসের কিছু বেশি পূর্বে।