রাম মোহন: ভারতীয় অ্যানিমেশন শিল্পের পথিকৃৎ

navbharattimes.indiatimes.com
বিশ্বের অন্যতম সর্ব্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে সব ধরনের পণ্যের জন্যই যথেষ্ট পরিমাণ ক্রেতা রয়েছে, যদি নির্মিত পণ্য উক্ত ক্রেতা গোষ্ঠীর মনমত হয়ে থাকে তো। আর একারণেই যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দেশটির অ্যানিমেশন শিল্প, বরাবরই মুম্বই তথা বলিউডের (ভারতের হলিউড) মূল বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রের তুলনায় পিছিয়েই রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত মেধা আর চেষ্টার মাধ্যমে শত বাধা পেরিয়েও সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। ভারতের অ্যানিমেশন শিল্প জগতের জনক- রাম মোহন- এই ধরনের সাফল্য লাভের এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ইউনিসেফ এর তত্ত্বাবধানে নির্মিত ‘মীনা’ কার্টুনের নির্মাতা হিসেবেই তিনি দক্ষিণ-এশীয় অঞ্চলে পরিচিতি লাভ করেন। 

প্রাথমিক জীবন 
রাম মোহন ১৯৩১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। যদিও একজন অ্যানিমেটর হিসেবেই তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘ইউনিভার্সিটি অফ মাদ্রাস’ থেকে তিনি রসায়নে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। নিয়মিত ধারার বাইরে গিয়ে এই ধরনের পরিবর্তন শুধু তার কর্মজীবনের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। যদিও মুম্বই মূলত: বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রসিদ্ধ, কিন্তু রাম মোহন এই শহরে এসে ধীরে ধীরে তার নিজস্ব ধারায় পেশাগত সফলতা অর্জন করতে শুরু করেন। মুম্বই শহরে আসার পিছনে মূল কারণ ছিল তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন। কিন্তু যে বিষয়ে তিনি পড়াশোনা করছিলেন তা কখনই তার মূল গন্তব্য ছিলনা, বিধায় তিনি সেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অসম্পূর্ণই রেখে দেন। 

অ্যানিমেশন জগতে পদার্পণ 
১৯৫৬ সালে রাম মোহন ‘ফিল্ম ডিভিশন অফ দ্য গভর্মেন্ট অফ ইণ্ডিয়া’র ‘কার্টুন ফিল্মস্ ইউনিট’ এ যোগদান করেন। নিজের দক্ষতাকে আরও শাণিত করার জন্য তিনি ‘ইউএস টেকনিক্যাল অ্যাইড’ কার্যক্রমের অধীনে ওয়াল্ট ডিজনী স্টুডিওস এর ‘ক্লেয়ার উইকস্’ এর নিকট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। উইকস্ সেসময়ে দুই-বছর মেয়াদী চুক্তিতে ‘কার্টুন ফিল্মস্ ইউনিট’ এর প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। 
১৯৬০ এর দশক জুরেই মোহন এই ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। এরপরে ১৯৭২ সালে তিনি ‘রাম মোহন বায়োগ্রাফিক্স’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে ইউটিভি গ্রুপের ‘ইউনাইটেড স্টুডিওস লিমিটেড’ (ইউএসএল) এর একটি বিভাগ ‘ইউটিভি টুনস্’ এর সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি সাক্ষর করেন। এভাবেই বর্তমানের বিখ্যাত ‘আরএম-ইউএসএল অ্যানিমেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। 
deviantart.com
কর্মজীবনের শুরুতে রাম মোহন, মিনু মাসানী’র লেখা বই অবলম্বনে নির্মিত অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘দিস আওয়ার ইণ্ডিয়া’র জন্য বিভিন্ন চরিত্র ও গল্পের ধারা ডিজাইন করতেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ‘কার্টুন ফিল্মস্ ইউনিট’ এ কাজ করার সময়ে তিনি অসংখ্য গল্প লেখা, ডিজাইন ও অ্যানিমেশনের কাজ করেন। ১৯৬৭ সালে ‘ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম’ অর্জনকারী ‘হোমো স্যাপস’ এবং ১৯৬৮ সালে ‘লিপজিগ ফেস্টিভ্যাল ফর শর্ট ফিল্মস’ এ পুরস্কার প্রাপ্ত ‘ক্যাওস’- সেসময়ে রাম মোহনের সৃষ্ট সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দু’টি কাজ। ১৯৬৭ সালে মন্ট্রিয়াল-এ অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড রেট্রোসপেক্টিভ অফ অ্যানিমেশন সিনেমা’ তে অংশগ্রহণ ছিল তার আরও একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। 
তিনি ১৯৬৮ সালে ফিল্ম ডিভিশনের চাকরিটি ছেড়ে দেন। এরপরে তিনি ‘হেড অফ অ্যানিমেশন’ এর দায়িত্ব নিয়ে ‘প্রসাদ প্রোডাকশন্স’ এ যোগ দেন। আর তারপরেই ১৯৭২ সালে রাম মোহন বায়োগ্রাফিক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। 

আরএম-ইউএসএল অ্যানিমেশন 
রাম মোহন বরাবরই জানতেন যে ভারতের অ্যানিমেশন শিল্পের খুব ভাল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তিনি এটাও বুঝতেন যে এই শিল্প বাণিজ্যের বেশিরভাগই হবে রপ্তানিকৃত কাজ। সেই সাথে তিনি এও জানতেন যে তার নিজের প্রতিষ্ঠানে, এই শিল্পের যথার্থ বিকাশ ঘটানোর মত প্রয়োজনীয় লোকবল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। একারণে তিনি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার সুযোগ খুঁজছিলেন, যাতে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠানে আরও অ্যানিমেটর নিয়োগের মাধ্যমের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের আরও বড় বড় কাজ গ্রহণ ও সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। 
এই প্রচেষ্টারই ফলস্বরূপ ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে রাম মোহন বায়োগ্রাফিক্স, ইউটিভি গ্রুপের ‘ইউটিভি স্টুডিওস লিমিটেড’ এর সাথে একটি অংশীদারভিত্তিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এভাবেই আকার, স্থায়িত্ব ও কাজের গুণগত মানের ভিত্তিতে ভারতের অন্যতম বড় অ্যানিমেশন স্টুডিওটি প্রতিষ্ঠিত হয়। একই সাথে এটি দেশের সবচেয় বড় স্টুডিও যেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণ পরবর্তী বিভিন্ন সম্পাদনার কাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এই সম্মিলিত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে রাম মোহনের মূল লক্ষ্য ছিল যথেষ্ট বড় আকার (প্রায় ৫০০০ বর্গফুট) ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (১৩ টি অ্যানিমো ওয়ার্ক স্টেশন) সম্বলিত একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যেন, বিশেষত বিদেশী ক্লায়েন্টদের জন্য, আরও বেশি পরিমাণে এবং বড় মাপের কাজ সম্পন্ন করা যায়। 
তার এই উদ্দ্যেশ্যটি প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পূরণ করা হয়। একটি সম্মিলিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করার এক বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানের লোকবল বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ জন থেকে ১২০ জন হল। সম্মিলিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করার আগে রাম মোহন বায়োগ্রাফিক্স শুধুমাত্র স্বল্পদৈর্ঘ্যের বিজ্ঞাপণের কাজই সম্পন্ন করতে সমর্থ ছিল। যখন তার একক প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯২ সালে ইউনিসেফ কর্তৃক নির্মিত ‘মীনা’ কার্টুনের ১৩ টি পর্ব তৈরির কাজ পায়, সেসময় তার প্রতিষ্ঠানে মাত্র ২০-২৫ জন শিল্পী কর্মরত থাকায় তিনি এতবড় কাজের দায়িত্ব নিতে পারেননি। তাই ‘মীনা কার্টুন’ এর প্রথম দিকের বেশ কিছু পর্বের অ্যানিমেশনের কাজ ম্যানিলা-তে অবস্থিত ‘ফিল-কার্টুনস্’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন করা হয়, যদিও ঐ সকল পর্বের চরিত্র ও গল্পের ধারার ডিজাইনের কাজ রাম মোহন নিজেই করেছিলেন। 
unicef.org
দেশের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের অ্যানিমেটর গড়ে তোলার উদ্দ্যেশ্যে, সম্মিলিত প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন অ্যানিমেটরদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই উদ্দ্যেশ্য সম্পন্ন করার জন্য দেশের সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদেরকে এখানে নিয়োগ দেওয়া হয় ও চাকুরিরত অবস্থায় প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। বেশি সংখ্যক অ্যানিমেটর, বড় আকারে কর্মক্ষেত্র এবং যথেষ্ট পরিমাণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতার ফলে আরএম-ইউএসএল মোট চার ধরনের কাজ করতে সমর্থ ছিল: (১) বিজ্ঞাপণের জন্য উন্নতমানের অ্যানিমেশন, (২) লস অ্যাঞ্জেলেস এর বিভিন্ন স্টুডিও’র সাথে যৌথভাবে সম্পন্ন কাজের জন্য উচ্চ পর্যায়ের অ্যানিমেশন, (৩) স্থানীয় ও এশীয় অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য তুলনামূলক নিম্নমানের, কম খরচের, সীমিত মাপের অ্যানিমেশন এবং (৪) আরএম-ইউএসএল এর নিজস্ব উদ্যোগে প্রচার করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কাজ। 
এই উন্নত পরিস্থিতিতে এক বছর কাজ করার পরে এই সম্মিলিত প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে ছিল: ইউনিসেফ (দক্ষিণ এশিয়া) কর্তৃক নির্মিত ‘মীনা’- দক্ষিণ এশিয়া’র কন্যা শিশুদের নিয়ে নির্মিত কার্টুন ছবি- এর ১২-মিনিট দৈর্ঘ্যের তিনটি পর্বের ডিজাইন, অ্যানিমেশন ও নির্মাণ-পরবর্তী কাজ; ইউনিসেফ (আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণাংশ) কর্তৃক নির্মিত ‘সারা’- আফ্রিকার কিশোরীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নির্মিত অনুষ্ঠানের ১৬-মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি পর্বের অ্যানিমেশনের কাজ; পরোক্ষ চুক্তিতে, ‘সাবান ইন্টারন্যাশনাল’ এর জন্য ‘অ্যাডভেঞ্চার অফ অলিভার টুইস্ট’ এর ২৪-মিনিট দৈর্ঘ্যের দুইটি পর্বের অ্যানিমেশনের কাজ; এবং ‘সিঙ্গাপুর টেলিভিশন’ এর জন্য ‘জো কিলাট’ নামের ১৩ পর্বের (প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২৪ মিনিট) একটি ধারাবাহিকের নির্মাণ পূর্ববর্তী অংশের কাজের আরম্ভ। সর্বশেষে উল্লেখ করা, ইউটিভিআই সিঙ্গাপুর এর সাথে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ধারাবাহিকের কাজটি ছিল বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্মিলিতভাবে সম্পন্ন করা, রাম মোহনের বেশ কয়েকটি কাজের একটি। 
১৯৯০ এর দশকের শুরুতে, আরএম-ইউএসএল অ্যানিমেশন, ‘নিপ্পন রামায়ন ফিল্মস্’ ও প্রযোজক ‘ইউগো সাকো’ এর সাথে সম্মিলিতভাবে, ‘দ্য লিজেণ্ড অফ রাম’ নামে ১৩৫-মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি অ্যানিমেটেড ফিচার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা নির্মাতাদের ঝুলিতে পুরস্কার এনে দেয়। এই সাফল্যের পরে, মোহন ও সাকো, হিন্দু পুরাণ ভিত্তিক আরও একটি চরিত্র ‘কৃষ্ণ’ কে নিয়েও একটি ফিচার নির্মাণের কথা আলোচনা করেন। 

অন্যান্য কাজ ও স্বীকৃতি 
youtube.com
রাম মোহন মূল বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র জগতেও কাজ করেন। এই ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হল: ১৯৭৮ সালে পরিচালক বি.আর. চোপড়া নির্মিত ‘পতি পত্নী অউর ও’ চলচ্চিত্রের একটি অ্যানিমেটেড গান, সত্যজিৎ রায় নির্মিত ‘সতরঞ্জ কে খিলারী’র শিল্পী পরিচয়ের ধারাবাহিকতা, মৃণাল সেন নির্মিত হিন্দী চলচ্চিত্র ‘ভূবন সোম’ এর একটি অংশ এবং এছাড়াও ‘বিবি ও বিবি’, ‘দো অউর দো পাঁচ’ ও ‘কামচোর’ এর মত চলচ্চিত্রেও তিনি কাজ করেন। মুম্বই এ অবস্থিত ‘গ্রাফিতি মাল্টিমিডিয়া’ নামের একটি অ্যানিমেশন কোম্পানীতে তিনি ‘চেয়ারম্যান’ ও ‘প্রধান ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে তিনি ‘গ্রাফিতি স্কুল অফ অ্যানিমেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। 
রাম মোহন তার কাজের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেন, যেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৭২ সালে নির্মিত ‘ইউ সেইড ইট’ ও ১৯৮৩ সালে নির্মিত ‘ফায়ার গেমস্’- এর জন্য ‘বেস্ট নন-ফিচার অ্যানিমেশন ফিল্ম’ বিভাগে দুইবার ‘ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন। এছাড়া ২০০৬ সালে তিনি ‘মুম্বই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ এ ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। তবে ২০১৪ সালে রাম মোহন তার কর্মজীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে ভূষিত হন, যা ভারত সরকার কর্তৃক সাধারণ নাগরিকদের জন্য প্রদত্ত চতুর্থ সর্ব্বোচ্চ পুরস্কার।

এই বিভাগে আরো আছে

রাম মোহন 7663823066509897000

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সঙ্গে থাকুন

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক

বৈশিষ্ট্যযুক্ত

বিশ্বসেরা ১০ কার্টুনিস্ট

শিল্পী রফিকুননবী সাধারণ মানুষের কাছে যতটা না তার ফাইন আর্টসের জন্য পরিচিত, তার চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় তার ‘টোকাই’ কার্টুন চরিত্রের জন্য। এ ...

-

  • ফেসবুকে অনুসরণ করুন

    আঁকা-আঁকি আহ্ববান

    আপনার আঁকা, মজার মজার লেখা, ছবি আঁকার কলা-কৌশল, শিল্পীর জীবনী, প্রবন্ধ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অথবা প্রদর্শনীর সংবাদ টুনস ম্যাগে ছাপাতে চাইলে পাঠিয়ে দিন। আমাদের ইমেইল করুন- [email protected] এই ঠিকানায়।

    সহায়তা করুন

    item