রং তুলির সোমা
বিডি.টুনসম্যাগ.কম : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে বিএফএ (চারুকলা) পাস করা শিল্পী নার্গিস পারভীন সোমা। ছবি আঁকাই যার ব্রত। ...
https://bd.toonsmag.com/2014/11/90.html
বিডি.টুনসম্যাগ.কম : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে বিএফএ (চারুকলা) পাস করা শিল্পী নার্গিস পারভীন সোমা। ছবি আঁকাই যার ব্রত। ছবির প্রতি প্রবল ঝোঁক আর আকাক্সক্ষা। ঘর-সংসার সামলানোর পাশাপাশি শিল্পকর্মে নিজেকে নিযুক্ত করেছেন তিনি। মনের অতৃপ্ত ইচ্ছে আর নারী মনের অতৃপ্ত বাসনার পাশাপাশি সুখ, দঃখ, যন্ত্রণা কিংবা কষ্টের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলেন ক্যানভাসের বুকে রঙ-তুলির আঁচড়ে। শিল্পকর্মের মাঝেই তিনি নিজের প্রতিভা আর আলো ছড়াতে চান দেশ-বিদেশে। এখন পর্যন্ত তার শতাধিক শিল্পকর্ম সম্পন্ন হয়েছে। অংশ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পকর্ম প্রতিযোগিতায়। পুরস্কারও পেয়েছেন। গত বছর ন্যাশনাল এক্সিবিউশনেও তাঁর একটি শিল্পকর্ম স্থান পায়।
সম্প্রতি তিনি এঁকেছেন গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলার শিকার শিশুদের আর্তনাদ। জলরঙের মাধ্যমে শিশুদের আর্তনাদ আর ইসরাইলের বর্বরতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তাঁর ছবিতে। সেখানে বুঝানো হয়েছে, শিশুরা ফুলের মতো। মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখির মতো। অথচ এই ফুল, পাখিদের কি নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে! প্রতিদিন বুলেটবিদ্ধ হচ্ছে শিশু। রক্তে ভেসে যাচ্ছে তাদের তুলতুলে শরীর। সর্বত্র আঘাতের চিহ্নরেখা। ছাপ ছাপ রক্তের দাগ।
বেহুলা কিংবা বর্বরতাই নয়, তাঁর শিল্পকর্মের মধ্যে আরও আছে- বাংলার মুজিব, অভিলাষ-১, অভিলাষ-২, অভিলাষ-৩, প্রসাধন-১, প্রসাধন-২, গ্রিন মোমেন্ট-১, গ্রিন মোমেন্ট-২, গ্রিন মোমেন্ট-৩, সামটাইম, কাম, মাদার, নীলকষ্ট-১, নীলকষ্ট-২, ওয়াটার লিলি, শৈশব, অন্তরঙ্গ, বেদে পরিবার, নারীর ক্ষমতায়ন, ইভটিজিং, শিকল, নারী ও প্রকৃতি-১, নারী ও প্রকৃতি-২, তিন রমণী, স্বপ্ন, দুষ্টক্ষত, ফুল ও কাঁটা, বায়স্কোপ, ঐক্য, মা ও শিশু-১, মা ও শিশু-২, লণ্ঠন, মুখ ও মুখোশ, ফেলানী, হরতাল, ক্যাকটাস, হিউম্যান ক্যালিগ্রাফি, কোলাজ-১, কোলাজ-২, কুড়ি ও ফুলের কাব্য, পাতার রচনা, প্রজাতির নম, চিঠি, শাপলা, রমণী, খোশ গল্প, প্রতীক্ষা, ফুলগাছ, পাখি ও নারী, যুগল, নারীমুখশ্রী, টাইগার প্রভৃতি।
ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিল সোমার। সেই ঝোঁক থেকে চারুকলার গণ্ডি পেরিয়ে আঁকাআঁকিতে মনোনিবেশ। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া। জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে পুরস্কারও পেয়েছেন বেশ কয়েকবার। সোমার লক্ষ্য নারী হয়ে নয়, একজন ভাল মাপের শিল্পী হয়ে ওঠা।
ব্যক্তিজীবনে সোমা বিবাহিত। স্বামী আব্দুস সালাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ভাস্কর্যের শিক্ষক। শিল্পী স্বামীর অনুপ্রেরণা সোমার ছবি আঁকার কাজে আরও প্রেরণা জোগায় বলে জানান সোমা। হাসির ছলে সোমা জানান, ‘তারা শিল্পী পরিবার।’ শিল্পকর্ম নিয়েই তাঁদের সবকিছু। তাঁদের ঘরে ছোট্ট ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। রং-তুলি আর সোমার শিল্পের জগতে তাঁর মেয়েও শিল্পের অংশ। তাই রং-তুলির সব রঙের সমন্বয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন ‘ষড়ঙ্গ’। যার মধ্যে মিশে রয়েছে শিল্প সত্তার সব রং।
সদা হাস্যোজ্জল সোমা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বপাড়া শিক্ষক কোয়ার্টারে থাকেন। বয়সে নবীন এ শিল্পীর লক্ষ্য নতুন নতুন চিন্তা আর ছবির মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তোলা। ছবি এঁকে ছবির ভাষায় সমাজ সংস্কারের প্রতিফলন ঘটানো। শিল্পকর্মের মধ্যে থেকে তার পরিধি বাড়াতে চান তিনি। তাই ঘর সংসারের নানা ঝক্কি-ঝামেলা সামলানোর পাশাপাশি শিল্পকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। নিজের ছোট ঘরে বসে একের পর এক তৈরি করে চলেছেন নানা শিল্পকর্ম। কখনও সাদা কাগজে জলরঙে তুলির আঁচড়ে অনবদ্য নারীর অবয়ব। আবার কখনও এ্যাক্রিলিকের দারুণ মিশ্রণে কোন রূপকথার কাহিনী। সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়েও ছবি আঁকেন তিনি। মনের ভাবনার সব রূপই ফুটিয়ে তোলেন ছবিতে। তাঁর প্রতিটি শিল্পকর্মেই ফুটে ওঠে প্রকৃতির রূপ মাধুর্য্য।
তাঁর শিল্পকর্মের মধ্যে অন্যতম হলো ‘বেহুলা’। রূপকথার সেই বেহুলা। বাসরঘরে রোমান্টিকতার আদলে কষ্টের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে টিউবলাইটের ওপর এ্যাক্রিলিক ও রঙের আলোছায়ায়। বেহুলার শরীরে সাপের নীল দংশনের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
সম্প্রতি তিনি এঁকেছেন গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলার শিকার শিশুদের আর্তনাদ। জলরঙের মাধ্যমে শিশুদের আর্তনাদ আর ইসরাইলের বর্বরতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তাঁর ছবিতে। সেখানে বুঝানো হয়েছে, শিশুরা ফুলের মতো। মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখির মতো। অথচ এই ফুল, পাখিদের কি নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে! প্রতিদিন বুলেটবিদ্ধ হচ্ছে শিশু। রক্তে ভেসে যাচ্ছে তাদের তুলতুলে শরীর। সর্বত্র আঘাতের চিহ্নরেখা। ছাপ ছাপ রক্তের দাগ।
বেহুলা কিংবা বর্বরতাই নয়, তাঁর শিল্পকর্মের মধ্যে আরও আছে- বাংলার মুজিব, অভিলাষ-১, অভিলাষ-২, অভিলাষ-৩, প্রসাধন-১, প্রসাধন-২, গ্রিন মোমেন্ট-১, গ্রিন মোমেন্ট-২, গ্রিন মোমেন্ট-৩, সামটাইম, কাম, মাদার, নীলকষ্ট-১, নীলকষ্ট-২, ওয়াটার লিলি, শৈশব, অন্তরঙ্গ, বেদে পরিবার, নারীর ক্ষমতায়ন, ইভটিজিং, শিকল, নারী ও প্রকৃতি-১, নারী ও প্রকৃতি-২, তিন রমণী, স্বপ্ন, দুষ্টক্ষত, ফুল ও কাঁটা, বায়স্কোপ, ঐক্য, মা ও শিশু-১, মা ও শিশু-২, লণ্ঠন, মুখ ও মুখোশ, ফেলানী, হরতাল, ক্যাকটাস, হিউম্যান ক্যালিগ্রাফি, কোলাজ-১, কোলাজ-২, কুড়ি ও ফুলের কাব্য, পাতার রচনা, প্রজাতির নম, চিঠি, শাপলা, রমণী, খোশ গল্প, প্রতীক্ষা, ফুলগাছ, পাখি ও নারী, যুগল, নারীমুখশ্রী, টাইগার প্রভৃতি।
সোমার প্রতিটি শিল্পকর্মে আলাদা আলাদা কাহিনীর বিন্যাস বোঝানো হয়েছে ভাবনা আর আইডিয়ার সমন্বয়ে। তাঁর একেকটি শিল্পকর্ম যেন একেকটি প্রতিচ্ছবি। যেগুলোয় স্থান পেয়েছে সমাজ সংসার থেকে শুরু করে বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সব অনুষঙ্গ।
ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিল সোমার। সেই ঝোঁক থেকে চারুকলার গণ্ডি পেরিয়ে আঁকাআঁকিতে মনোনিবেশ। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া। জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে পুরস্কারও পেয়েছেন বেশ কয়েকবার। সোমার লক্ষ্য নারী হয়ে নয়, একজন ভাল মাপের শিল্পী হয়ে ওঠা।
ব্যক্তিজীবনে সোমা বিবাহিত। স্বামী আব্দুস সালাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ভাস্কর্যের শিক্ষক। শিল্পী স্বামীর অনুপ্রেরণা সোমার ছবি আঁকার কাজে আরও প্রেরণা জোগায় বলে জানান সোমা। হাসির ছলে সোমা জানান, ‘তারা শিল্পী পরিবার।’ শিল্পকর্ম নিয়েই তাঁদের সবকিছু। তাঁদের ঘরে ছোট্ট ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। রং-তুলি আর সোমার শিল্পের জগতে তাঁর মেয়েও শিল্পের অংশ। তাই রং-তুলির সব রঙের সমন্বয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন ‘ষড়ঙ্গ’। যার মধ্যে মিশে রয়েছে শিল্প সত্তার সব রং।