শিল্প ও শিল্পীর পাশে কিছুক্ষণ
কামরুল হাসান জনি বিডি.টুনসম্যাগ.কম শিল্পী আবাস সাবেরির সঙ্গে লেখক দুবাইয়ের জনপ্রিয় পত্রিকা দ্য ন্যাশনাল–এ কয়েক বছর আগে (২৯ জানু...
https://bd.toonsmag.com/2014/11/25_19.html
কামরুল হাসান জনি
বিডি.টুনসম্যাগ.কম
দুবাইয়ের জনপ্রিয় পত্রিকা দ্য ন্যাশনাল–এ কয়েক বছর আগে (২৯ জানুয়ারি ২০১০) একজন শিল্পীর কাজের প্রশংসা করে ছেপেছিল একটি প্রতিবেদন। তিনি ইরানের চিত্রশিল্পী আব্বাস সাবেরি। ১০ বছর আগে ইরান থেকে এসেছেন দুবাইয়ে। এখানে এসে সাবেরি ও তাঁর স্ত্রী চিত্রশিল্পের একটি দোকান দেন। এরপর নিজেদের প্রচেষ্টায় দুবাইয়ের ওয়াফি সিটিতে আর্ট গ্যালারির জন্য একটি দোকানঘর ভাড়া নেন। বর্তমানে ওয়াফি মলের সুক খানমুরজানে তাঁদের একটি আর্ট গ্যালারি রয়েছে। নাম SWAN PALACE। বছরের বিভিন্ন সময় তাঁরা করেন নানন্দিক চিত্রকর্মের প্রদর্শনী। কিছুদিন আগে দুবাইয়ের ওয়াফি সিটিতে ঘুরতে গিয়ে পরিচয় হলো অসাধারণ হাতের জাদুকর এই চিত্রশিল্পীর সঙ্গে।
সাবেরির কাজের অনুপ্রেরণা ও নির্ভরযোগ্য সহযোগী তাঁর স্ত্রী। কথা প্রসঙ্গে সাবেরি বলেন, ‘চিত্রশিল্পকে এভাবে নেওয়ার পেছনে বড় অবদান আমার স্ত্রীর। আমি একজন ডিজাইনার মাত্র। আর আমার স্ত্রী চিন্তাবিদ।’ সাবেরির স্ত্রী লালেহ তাঘিয়ানীও চিত্রশিল্পী ও একজন কবি। মাঝে মাঝে লালেহ দু-চার লাইনের ছড়া লিখে দেন, যেগুলো সাবেরি নিজের চিত্রকর্মে নিখুঁতভাবে সাজিয়ে তোলেন। উত্তর ইরানের মাশহাদ শহর থেকে আসা ৫৪ বছর বয়সী এই চিত্রশিল্পীর দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দুবাইয়ে বসবাস করছেন। ৩০ বছর আগে লালেহ তাঘিয়ানিকে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে তাদের ২২ ও ১৭ বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিডি.টুনসম্যাগ.কম
শিল্পী আবাস সাবেরির সঙ্গে লেখক |
দুবাইয়ের জনপ্রিয় পত্রিকা দ্য ন্যাশনাল–এ কয়েক বছর আগে (২৯ জানুয়ারি ২০১০) একজন শিল্পীর কাজের প্রশংসা করে ছেপেছিল একটি প্রতিবেদন। তিনি ইরানের চিত্রশিল্পী আব্বাস সাবেরি। ১০ বছর আগে ইরান থেকে এসেছেন দুবাইয়ে। এখানে এসে সাবেরি ও তাঁর স্ত্রী চিত্রশিল্পের একটি দোকান দেন। এরপর নিজেদের প্রচেষ্টায় দুবাইয়ের ওয়াফি সিটিতে আর্ট গ্যালারির জন্য একটি দোকানঘর ভাড়া নেন। বর্তমানে ওয়াফি মলের সুক খানমুরজানে তাঁদের একটি আর্ট গ্যালারি রয়েছে। নাম SWAN PALACE। বছরের বিভিন্ন সময় তাঁরা করেন নানন্দিক চিত্রকর্মের প্রদর্শনী। কিছুদিন আগে দুবাইয়ের ওয়াফি সিটিতে ঘুরতে গিয়ে পরিচয় হলো অসাধারণ হাতের জাদুকর এই চিত্রশিল্পীর সঙ্গে।
তাঁর চিত্রকর্মগুলোতে রয়েছে হস্তনির্মিত অ্যামবসড তথা কাগজের ওপর উঁচু উঁচু করে হাতের তৈরি নকশা ও লেখা খোদাই করা, তামার পেইন্ট ও অ্যালুমিনিয়ামের শিল্পকর্ম। বিভিন্ন ধরনের পাথর ও ধাতু ব্যবহার করেন সাবেরি তাঁর প্রিয় এসব চিত্রে। বেশির ভাগ চিত্রগুলো তামা ও ধাতুর প্লেটের ওপর করা। প্রতিটি চিত্রকর্মে বিচিত্র সব অনুভূতি জাগায় মনে। অসাধারণ তাঁর হাতের কারুকাজ সাবেরির সর্বশেষ নিজস্ব চিত্রকর্মের প্রদর্শনী হয় কিছুদিন আগে। এতে স্থান পায় তাঁর করা কিছু কাজ। এগুলোর মধ্যে ওয়াটার অ্যান্ড ফায়ার, ফ্লাইং হর্স, লোনলি ট্রি, দ্য টাইম, খোরশিদ খানম, মালাকুট, মাদার, হার্টস, দ্য সান ও ক্রাইং বার্ড চিত্রগুলো উল্লেখযোগ্য। একেকটি চিত্র বিক্রি হয় ৩০০ থেকে পাঁচ হাজার দিরহাম মূল্যে। প্রতিটি চিত্রকর্ম সম্পর্কেই সাবেরির ছিল আলাদা আলাদা বর্ণনা। অবশ্য সামগ্রিকভাবে তাঁর প্রতিটি শিল্পকর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাবেরি বলেন, চিত্রগুলোর প্রতিটি অংশ একটি বিশেষ অর্থ বহন করে এবং এর পেছনে আছে একটি গল্প।
আব্বাস সাবেরির ভাষায়, ‘দিস ইজ এ ভেরি স্পেশাল কাইন্ড অব আর্ট। এভরি পিস হেয়ার হ্যাজ এ স্পেশাল মিনিং অ্যান্ড এ স্টোরি বিহাইন্ড ইট। আই ডিসাইডেড টু চেঞ্জ মাই হবি ইনটু মাই জব। নাউ ইনটেরিওর ডিজাইন ইজ মাই হবি অ্যান্ড দিস ইজ মাই লাইফ।’
আবাস সাবেরির গ্যালারি |
সাবেরির কাজের অনুপ্রেরণা ও নির্ভরযোগ্য সহযোগী তাঁর স্ত্রী। কথা প্রসঙ্গে সাবেরি বলেন, ‘চিত্রশিল্পকে এভাবে নেওয়ার পেছনে বড় অবদান আমার স্ত্রীর। আমি একজন ডিজাইনার মাত্র। আর আমার স্ত্রী চিন্তাবিদ।’ সাবেরির স্ত্রী লালেহ তাঘিয়ানীও চিত্রশিল্পী ও একজন কবি। মাঝে মাঝে লালেহ দু-চার লাইনের ছড়া লিখে দেন, যেগুলো সাবেরি নিজের চিত্রকর্মে নিখুঁতভাবে সাজিয়ে তোলেন। উত্তর ইরানের মাশহাদ শহর থেকে আসা ৫৪ বছর বয়সী এই চিত্রশিল্পীর দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দুবাইয়ে বসবাস করছেন। ৩০ বছর আগে লালেহ তাঘিয়ানিকে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে তাদের ২২ ও ১৭ বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
কামরুল হাসান জনি
আরব আমিরাত থেকে
আরব আমিরাত থেকে