শিয়ালের বুদ্ধি
ওসমান বিন হোসাইন বিডি.টুনসম্যাগ.কম গ্রামের অদূরে বনের একটি গাছের কোঠারে বাস করত এক বাঘ। বাঘটা ছিল ভীষণ দুষ্ট। সুযোগ ফেলে বনের অন্য প্র...
https://bd.toonsmag.com/2016/01/11256.html
ওসমান বিন হোসাইন
বিডি.টুনসম্যাগ.কম
গ্রামের অদূরে বনের একটি গাছের কোঠারে বাস করত এক বাঘ। বাঘটা ছিল ভীষণ দুষ্ট। সুযোগ ফেলে বনের অন্য প্রাণীদের ধরে খেত। তাই সব প্রাণী বাঘের কাছ থেকে দূরে থাকত। বাঘের ভয়ে ছোট ছোট প্রাণীরাও ঝোঁপ-জঙ্গলে লুকিয়ে থাকত। মা প্রাণীরা বাচ্চাদেরকে বুকের ভিতর আগলে রাখত। একদিন বাঘ গেল শিকার করতে। রাতের খাবার নিয়ে গুহায় ফিরবে। শিয়াল, শিয়ালনী আর তাদের বাচ্চাগুলোকে নিয়েও খাবারের সন্ধাণে বেরিয়েছে। তারা এ বনে নতুন এসেছে। পাশের বনে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় সেখান থেকে তারা চলে এসেছে। তাই ওরা বাঘটার কথা জানত না। খাবার খুঁজতে খঁজতে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রামের জন্য দুষ্ট বাঘের গুহায় ঢুকে পড়ল। আসলে তারা জানত না সেটা বাঘের গুহা ছিল। রাতের খাবার খেয়ে তারা শান্তিতে ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় শিয়াল কি যেন মরমর শব্দ শুনতে পেল। গুহার একপাশে ছোট্ট একটা ছিদ্র ছিল। গুহার ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে শিয়াল বাঘকে দেখতে পেয়ে ভয় পেল। এখন শিয়াল কি করবে কিচ্ছু ভেবে পাচ্ছে না। হঠাৎ শিয়ালনীর মাথায় একটা বুদ্ধি আঁতল। এমনি শিয়ালনী তার বাচ্চাগুলোকে ধরে ছিমটি কাটতে লাগল। তখন বাচ্চাগুলো খুব জোরে সুড়ে চেঁচালো। শিয়াল তখন মোটা আর বিশ্রী গলার সুর করে জিঙ্গেস করল, 'খোকারা কাঁদছে কেন? শিয়ালনীও তেমনি বিশ্রী সরে বলল,'ওরা বাঘ খেতে চায়,তাই কাঁদছে। বাঘ তার গর্তের দিকে আসছিল। এর মধ্যে ওরা বাঘ খেতে চায় শুনে সে থমকে দাঁড়াল। সে ভাবল, 'বাবা!না জানি আমার গর্তের মধ্যে ওগুলো কি ঢুকে রয়েছে। নিশ্চয় ভয়ানক রাক্ষস হবে, 'নইলে কি ওদের খোকারা বাঘ খেতে চায়! তখুনি বলল, 'আরে বাঘ কোথায় পাব? যা ছিল সবই তো ওদের ধরে এনে খাইয়েছি। তাতে শিয়ালনী বলল,'তা বললে কি হবে? যেমন করে পারো একটা ধরে আনো, নইলে খোকারা থামছে না। এই বলে শিয়ালনী বাচ্চাগুলোকে আরো চিমটি কাটতে লাগল। তখন শিয়াল বলল আচ্ছা থাম থাম! ঐ যে বাঘ আসতেছে। আমার জোপংটা দাও এখুনী ওকে খুপাং করছি। জোপাং বলেও কিছু নে খুপাং বলেও কিছুই নেই সবই শিয়ালের চালাকি। বাঘের কিন্তু সে জোপাং খুপাং শুনেই ভয়ে প্রাণ উড়ে গেল। মুখ শুকনা পাতার মত শুকিয়ে গেল। সে বললো,'মাগো, এ বেলায় পালায়, নইলে না জানি কি দিয়ে কি করবে এসে! বলে সে আর সেখানে একটুও দাঁড়াল না। দিল এক ভোঁ দৌড়। গুহার ভেতর কি আছে সে একটুও দেখল না। গুহার ছিদ্র দিয়ে বাঘকে পালাতে দেখে শিয়ালত হেসেই পাগল। সেদিনের পর থেকে বাঘ আর গুহার ধারে কাছে আসে নি। তারপর থেকে তাদের আর কোন কষ্ট হয় নি। শিয়াল আর শিয়ালনী তাদের বাচ্চাগুলোকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগল।
কক্সবাজার সরকারী কলেজ
অনার্স ১ম বর্ষ (বাংলা বিভাগ)
বিডি.টুনসম্যাগ.কম
গ্রামের অদূরে বনের একটি গাছের কোঠারে বাস করত এক বাঘ। বাঘটা ছিল ভীষণ দুষ্ট। সুযোগ ফেলে বনের অন্য প্রাণীদের ধরে খেত। তাই সব প্রাণী বাঘের কাছ থেকে দূরে থাকত। বাঘের ভয়ে ছোট ছোট প্রাণীরাও ঝোঁপ-জঙ্গলে লুকিয়ে থাকত। মা প্রাণীরা বাচ্চাদেরকে বুকের ভিতর আগলে রাখত। একদিন বাঘ গেল শিকার করতে। রাতের খাবার নিয়ে গুহায় ফিরবে। শিয়াল, শিয়ালনী আর তাদের বাচ্চাগুলোকে নিয়েও খাবারের সন্ধাণে বেরিয়েছে। তারা এ বনে নতুন এসেছে। পাশের বনে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় সেখান থেকে তারা চলে এসেছে। তাই ওরা বাঘটার কথা জানত না। খাবার খুঁজতে খঁজতে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রামের জন্য দুষ্ট বাঘের গুহায় ঢুকে পড়ল। আসলে তারা জানত না সেটা বাঘের গুহা ছিল। রাতের খাবার খেয়ে তারা শান্তিতে ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় শিয়াল কি যেন মরমর শব্দ শুনতে পেল। গুহার একপাশে ছোট্ট একটা ছিদ্র ছিল। গুহার ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে শিয়াল বাঘকে দেখতে পেয়ে ভয় পেল। এখন শিয়াল কি করবে কিচ্ছু ভেবে পাচ্ছে না। হঠাৎ শিয়ালনীর মাথায় একটা বুদ্ধি আঁতল। এমনি শিয়ালনী তার বাচ্চাগুলোকে ধরে ছিমটি কাটতে লাগল। তখন বাচ্চাগুলো খুব জোরে সুড়ে চেঁচালো। শিয়াল তখন মোটা আর বিশ্রী গলার সুর করে জিঙ্গেস করল, 'খোকারা কাঁদছে কেন? শিয়ালনীও তেমনি বিশ্রী সরে বলল,'ওরা বাঘ খেতে চায়,তাই কাঁদছে। বাঘ তার গর্তের দিকে আসছিল। এর মধ্যে ওরা বাঘ খেতে চায় শুনে সে থমকে দাঁড়াল। সে ভাবল, 'বাবা!না জানি আমার গর্তের মধ্যে ওগুলো কি ঢুকে রয়েছে। নিশ্চয় ভয়ানক রাক্ষস হবে, 'নইলে কি ওদের খোকারা বাঘ খেতে চায়! তখুনি বলল, 'আরে বাঘ কোথায় পাব? যা ছিল সবই তো ওদের ধরে এনে খাইয়েছি। তাতে শিয়ালনী বলল,'তা বললে কি হবে? যেমন করে পারো একটা ধরে আনো, নইলে খোকারা থামছে না। এই বলে শিয়ালনী বাচ্চাগুলোকে আরো চিমটি কাটতে লাগল। তখন শিয়াল বলল আচ্ছা থাম থাম! ঐ যে বাঘ আসতেছে। আমার জোপংটা দাও এখুনী ওকে খুপাং করছি। জোপাং বলেও কিছু নে খুপাং বলেও কিছুই নেই সবই শিয়ালের চালাকি। বাঘের কিন্তু সে জোপাং খুপাং শুনেই ভয়ে প্রাণ উড়ে গেল। মুখ শুকনা পাতার মত শুকিয়ে গেল। সে বললো,'মাগো, এ বেলায় পালায়, নইলে না জানি কি দিয়ে কি করবে এসে! বলে সে আর সেখানে একটুও দাঁড়াল না। দিল এক ভোঁ দৌড়। গুহার ভেতর কি আছে সে একটুও দেখল না। গুহার ছিদ্র দিয়ে বাঘকে পালাতে দেখে শিয়ালত হেসেই পাগল। সেদিনের পর থেকে বাঘ আর গুহার ধারে কাছে আসে নি। তারপর থেকে তাদের আর কোন কষ্ট হয় নি। শিয়াল আর শিয়ালনী তাদের বাচ্চাগুলোকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগল।
কক্সবাজার সরকারী কলেজ
অনার্স ১ম বর্ষ (বাংলা বিভাগ)