আমি রম্যলেখা ধরে রাখতে চাই : ইমন চৌধুরী
বিডি.টুনসম্যাগ.কম : বাংলাসাহিত্যে এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় রম্যলেখক ইমন চৌধুরী। জন্ম ১৮ জুন ১৯৮৩ সালে নোয়াখালি সরকারি কলোনীতে। জাতীয় বিশ্...
https://bd.toonsmag.com/2014/09/blog-post_9.html
বিডি.টুনসম্যাগ.কম : বাংলাসাহিত্যে এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় রম্যলেখক ইমন চৌধুরী। জন্ম ১৮ জুন ১৯৮৩ সালে নোয়াখালি সরকারি কলোনীতে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতকউত্তর। পৈত্রিকসূত্রে ঠিকানা ফেনী জেলার ফুলগাজি উপজেলার পৈথারা গ্রামে। রম্য লিখছেন ২০০০ সাল থেকে। তার প্রকাশিত একমাত্র রম্যগল্পের বই 'কান টানলে মাথা আসে' সুধীমহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দৈনিক সমকালের সাপ্তাহিক রম্য ম্যাগাজিন প্যাচআলের সম্পাদনার সাথে যুক্ত আছেন। তার লেখালেখি, রম্য নিয়ে তার ভাবনা সহ বিভিন্ন্ বিষয় টুনস ম্যাগ বাংলার পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করা হল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ
নাদিম : রম্যলেখায় কিভাবে আসলেন?
ইমন : শৈশব থেকে লেখালেখির প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল। লিখতে চেষ্টা করতাম। সেসময় দৈনিক প্রথম আলোর রম্য ম্যাগাজিন ’আলপিন’ খুব জনপ্রিয় ছিল। তখন আমারও মনে হয়েছে, এটি আমার লেখালেখির জন্য ভাল একটি অঙ্গন। সে থেকে আমি রম্য লিখে আসছি।
নাদিম : রম্য লেখা সমাজে কি ধরনের প্রভাব ফেলে বলে আপনি মনে করেন?
ইমন : যেসব পাঠকের মাঝে আত্মসম্মানবোধ আছে, তাদের মাঝে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।
নাদিম : আপনি রম্যরচনার পাশাপাশি সিরিয়াস সাহিত্য রচনা করেন। এক্ষেত্রে আপনার কোন সমস্যা হয় না?
ইমন : আমার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় না। যদি সিরিয়াস সাহিত্যে মাঝেমাঝে হাস্য -রস যোগ করা হয়, তাহলে বিষয়টি হালকা হয় না। পাঠকেরাও অন্যরকম স্বাদ পায়।
নাদিম : বর্তমানে সৈয়দ মুজতবা আলী, শিবরাম চক্রবর্তীর মত বাংলা সাহিত্যে এমন ক্ষুরধার লেখক সৃষ্টি হচ্ছে না। কারণ হিসেবে আপনি কি মনে করেন?
ইমন : বিষয়টি সম্পূর্ণ সত্য। বর্তমানে যার রম্য লিখছেন, তাদের প্রায়জনের মাঝে সাধনার চেয়ে বাণিজ্যিক চিন্তা বেশি কাজ করছে। ফলে তাদের মত শক্তিশালী রম্য লেখক সৃষ্টি হচ্ছে না।
নাদিম : বর্তমানে যে সকল রম্য সাময়িকীগুলো প্রকাশ হচ্ছে, তাদের মাঝে চলতি ইস্যুগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়। আমাদের চিরায়ত সমস্যাগুলো নিয়ে বিশেষ আয়োজন থাকে না। বিষয়টি নিয়ে আপনি কি ভাবছেন?
ইমন : আমাদের চলতি ইস্যুও পাশাপাশি চিরায়ত সমস্যাগুলো সাময়িকীগুলোতে উঠে আসা উচিত। তাহলে তা মানুষকে আরো বেশি সচেতন করবে।
নাদিম : রম্যলেখা নিয়ে আপনার ভাবনা?
ইমন : রম্যলেখা আমি খুব উপভোগ করি। একটি লেখা লিখে যখন শেষ করি, তখন নিজের মাঝে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি আসে। যা আমি অন্য কোন কিছুতে পাই না। আমি রম্যলেখা ধরে রাখতে চাই।
নাদিম : নতুনদের প্রতি উপদেশ –
ইমন : প্রচুর পড়তে হবে। সেয়দ মুজতবা আলী, শিবরাম চক্রবর্তী, পরশুরাম সহ প্রসিদ্ধ রম্যলেখকদের লেখা পড়তে হবে। সমাজসচেতন হতে হবে। চারপাশে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে।
নাদিম : কষ্ট করে এতক্ষণ সময় দেয়ার টুনস ম্যাগ বাংলা'র পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ইমন : আপনাকেও ধন্যবাদ।