নরেন রায়
বিডি.টুনসম্যাগ.কম সুফি, (১৯৩৬-২০০৩) বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন ভারতীয় কার্টুন শিল্পী, যাঁর প্রকৃত নাম নরেন রায়। ব্যক্তিজীবন সুফি ১৯৩৬ ...
https://bd.toonsmag.com/2015/07/887675.html
বিডি.টুনসম্যাগ.কম
সুফি, (১৯৩৬-২০০৩) বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন ভারতীয় কার্টুন শিল্পী, যাঁর প্রকৃত নাম নরেন রায়।
এছাড়া, আরো অনেক কাগজে কার্টুন এঁকেছেন তিনি। ‘যষ্টিমধু’, ‘প্রহরা’, ‘সচিত্র তোমার জীবন’, ‘মঞ্চকথা’, ‘সংগীতিকা’, ‘ব্যঙ্গজগৎ’, ‘সচিত্র ভারত’, ‘যুগান্তর’, ‘বসুমতী’তে এঁকেছেন। পরবর্তীকালে এঁকেছেন ছোটদের জন্য ‘শুকতারা’র পাতায়। ‘সুফি’ ছাড়াও বেশকিছু ছদ্মনাম ছিলো তাঁর, যেমন- সঞ্জয়, বিনি, বিরিঞ্চি, প্রমীলা রায়।
বিখ্যাত কার্টুনিস্ট কে. এস. পিল্লাই, ওরফে শঙ্কর দিল্লি থেকে ‘শঙ্কর’স উইকলী’ নামক কার্টুন পত্রিকা বের করতেন; এই কাগজেও সুফির আঁকা ছবি স্থান পেয়েছে।
হাওড়া জেলা স্কুল বোর্ডে চাকরি নিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর কার্টুন উপর-ওয়ালার চোখে পড়ে যাওয়ায় কর্মচ্যুত হন। এরপরে আর কোনো চাকরি নেননি তিনি।
সুফি ছিলেন বামপন্থী মতাবলম্বী, ‘গণশক্তি’ পত্রিকাতেও আঁকতেন তিনি।
কার্টুনে নিছক রঙ্গ তিনি পছন্দ করতেন না, তিনি চাইতেন সমাজ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আঁকতে। এজন্য তাঁকে সমসাময়িক বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সচেতন থাকতে হত। দেশ-বিদেশের কার্টুনিস্টদের কাজ নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। দারিদ্র্য-অভাব ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী, কিন্তু শিল্পীমানসকে তা ক্ষুণ্ণ করতে পারেনি।
সুফি, (১৯৩৬-২০০৩) বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন ভারতীয় কার্টুন শিল্পী, যাঁর প্রকৃত নাম নরেন রায়।
ব্যক্তিজীবন
সুফি ১৯৩৬ সালে তদানিন্তন পূর্ববঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই তাঁর পরিবার পাড়ি জমান ভারতের হাওড়ার শিবপুরে। সেখানেই তিনি বসবাস করতে থাকেন।শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবন
১৯৫৬ সালে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে স্কুল-ফাইনাল পাস করেন। কলেজে ভর্তি হবার সময় থেকে তিনি কার্টুন আঁকা শুরু করেন (কলেজে ভর্তি হলেও তিনি আর্থিক কারণে কিছুদিনের মধ্যেই পড়াশুনো ছেড়ে দিতে বাধ্য হন)। তাঁর প্রথম কার্টুন প্রকাশিত হয় ‘গড়ের মাঠ’ নামের এক খেলার কাগজে, সেটা ছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান নিয়ে মজার কার্টুন। এরপর, ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকায় তাঁর আঁকা ছবি প্রকাশিত হয়; প্রথমে কেবল ছোটদের জন্য আঁকতেন তিনি, পরে রবিবাসরীয় পাতার দায়িত্বে থাকা অরুন রায় শিল্পীকে নিয়ে আসেন রবিবারের পাতায়। ‘সুফি’ নামটি অরুন রায়েরই দেওয়া। ‘স্বাধীনতা’ কাগজেই তাঁর প্রথম রাজনৈতিক কার্টুন প্রকাশিত হয়।এছাড়া, আরো অনেক কাগজে কার্টুন এঁকেছেন তিনি। ‘যষ্টিমধু’, ‘প্রহরা’, ‘সচিত্র তোমার জীবন’, ‘মঞ্চকথা’, ‘সংগীতিকা’, ‘ব্যঙ্গজগৎ’, ‘সচিত্র ভারত’, ‘যুগান্তর’, ‘বসুমতী’তে এঁকেছেন। পরবর্তীকালে এঁকেছেন ছোটদের জন্য ‘শুকতারা’র পাতায়। ‘সুফি’ ছাড়াও বেশকিছু ছদ্মনাম ছিলো তাঁর, যেমন- সঞ্জয়, বিনি, বিরিঞ্চি, প্রমীলা রায়।
বিখ্যাত কার্টুনিস্ট কে. এস. পিল্লাই, ওরফে শঙ্কর দিল্লি থেকে ‘শঙ্কর’স উইকলী’ নামক কার্টুন পত্রিকা বের করতেন; এই কাগজেও সুফির আঁকা ছবি স্থান পেয়েছে।
হাওড়া জেলা স্কুল বোর্ডে চাকরি নিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর কার্টুন উপর-ওয়ালার চোখে পড়ে যাওয়ায় কর্মচ্যুত হন। এরপরে আর কোনো চাকরি নেননি তিনি।
সুফি ছিলেন বামপন্থী মতাবলম্বী, ‘গণশক্তি’ পত্রিকাতেও আঁকতেন তিনি।
কার্টুনে নিছক রঙ্গ তিনি পছন্দ করতেন না, তিনি চাইতেন সমাজ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আঁকতে। এজন্য তাঁকে সমসাময়িক বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সচেতন থাকতে হত। দেশ-বিদেশের কার্টুনিস্টদের কাজ নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। দারিদ্র্য-অভাব ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী, কিন্তু শিল্পীমানসকে তা ক্ষুণ্ণ করতে পারেনি।