ছোট্ট ভূত
মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিডি.টুনসম্যাগ.কম দ্বিতল উঁচু বাড়িটা বৈকালের স্নিগ্ধ রোদকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে দক্ষিণমুখী বলে সন্ধ্যেটা বেশ গোধূলীময়। উ...
https://bd.toonsmag.com/2015/11/191207.html
মোঃ জাহিদুল ইসলাম
বিডি.টুনসম্যাগ.কম
বিডি.টুনসম্যাগ.কম
দ্বিতল উঁচু বাড়িটা বৈকালের স্নিগ্ধ রোদকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে দক্ষিণমুখী বলে সন্ধ্যেটা বেশ গোধূলীময়। উপরের তলায় ছোট্ট সাদমান থাকে। পাশাপাশি অন্য একটা রুম আছে। বেশ পুরোনো। নিচের তলার পূর্বদিকেরটা কায়েস সাহেবের। বয়স প্রায় ত্রিশ কি চল্লিশ হবে। গরমের ছুটিতে পুরো পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। সংসারে কায়েস সাহেব একাই। উত্তরের শেষ ফ্ল্যাটটি এখন ফাঁকা। এক ভদ্রলোক ছিলেন...কায়েস সাহেবের পিতামহ! সরকারী চাকুরে। ছয়-সাত বছর বয়সী তার ছেলে সাদমান রাইয়্যান মারা গেলে তিনি ঘরটি তালাবদ্ধ করে রেখে যান। অবশ্য তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে বছরখানেক হলো রুমটা বন্ধ। পরিবারের সবাই শহরে থাকা হয়। তাই না হচ্ছে ভাড়া, না অন্য কেউ করছে বসবাস। পুরো বাড়ি সবসময় ফাঁকাই পড়ে থাকে। ঈদ কিংবা শীতের ছুটিতে মাঝে মাঝে এসে গ্রামের বাড়িতে ঠুঁ দিয়ে যাওয়া হয়। এই আরকি !
সাদমান প্রচন্ড মামাভক্ত। ছুটি পেয়ে মামাও ভাগ্নেকে সঙ্গ দেওয়ার প্রস্তাবখানা ফেলতে পারেনি। টুক করে ব্যাগ গুছিয়ে চলে এসেছে সাদমানদের বাড়ি। সন্ধ্যার পর দুই জন মিলে ফ্ল্যাটের মাঝের করিডোর ধরে হাঁটে। এই সময় কেউ চলাচল না করায় আধঘণ্টা খানেক হাঁটা হয় বেশ নির্বিঘ্নে। সাদমানের মা চলে আসলে নিচে নেমে আসতে হয়।
একদিন মামা করিডোরে হাঁটতে হাঁটতে সাদমানকে বলে, বুঝলি সাদমান, এই উত্তরের রুমটায় ভূতে ধরেছে।
তাই নাকি মামা! সাদমান অবাক চোখে চায়।
এমনিতে সে ভূতের নাম শুনলে খুব মজা পায়। আবার ভূত পাশেই রয়েছে ভেবে তার চোখ-মুখ জ্বলজ্বল করে উঠে। সাদমান প্রচন্ড সাহসী। ছোট্টবেলাতেই সে নিজেকে অন্য চূড়ায় পৌঁছিয়ে নিয়ে গেছে। নিজের কাজ এখন থেকেই নিজে করে। ছোট্টবেলাতেই নিজ হাতে ভাত খাওয়া, খেলা শেষে নিজের খেলনা গুছিয়ে রাখা, টয়লেট শেষে নিজে নিজেই পানি ঢেলে দেওয়া। ভাগ্নের এমন জ্বলে জ্বলে চোখ-মুখ দেখে মামার খারাপ লাগে। থাক, বেচারাকে এ-বিষয়ে কিছু বলবে না। তাকে সহজ করার জন্যে বলে, আরে ঠাট্টা করে বললাম। তুই আবার সত্যি মনে করলি নাকি?
তাই নাকি মামা! সাদমান অবাক চোখে চায়।
এমনিতে সে ভূতের নাম শুনলে খুব মজা পায়। আবার ভূত পাশেই রয়েছে ভেবে তার চোখ-মুখ জ্বলজ্বল করে উঠে। সাদমান প্রচন্ড সাহসী। ছোট্টবেলাতেই সে নিজেকে অন্য চূড়ায় পৌঁছিয়ে নিয়ে গেছে। নিজের কাজ এখন থেকেই নিজে করে। ছোট্টবেলাতেই নিজ হাতে ভাত খাওয়া, খেলা শেষে নিজের খেলনা গুছিয়ে রাখা, টয়লেট শেষে নিজে নিজেই পানি ঢেলে দেওয়া। ভাগ্নের এমন জ্বলে জ্বলে চোখ-মুখ দেখে মামার খারাপ লাগে। থাক, বেচারাকে এ-বিষয়ে কিছু বলবে না। তাকে সহজ করার জন্যে বলে, আরে ঠাট্টা করে বললাম। তুই আবার সত্যি মনে করলি নাকি?
"আচ্ছা মামা, ভূত কেমন হয়?"
'কী করে বলব। আমি তো জীবনে কখনো ভূতের দেখা পাইনি।'
"ভূতের নাকি বড় বড় কুলোর মতো কান হয়, ময়লা ময়লা মুলোর মতো হয় নোংরা দাঁত... লাল লাল আগুনের গোলার মতো চোখ... বড় বড় বাঁকানো শিং..."
ওটা লোকের ধারণা রে। ভূত তো মানুষ নয়। মানুষের সঙ্গে তুলনা করলে ভূতকে জানা যাবে না। আচ্ছা, মানুষরা অমন ধারণা কেন করে? ভূত তো অন্ধকারে থাকে, তাই সবকিছু ঝাপসা দেখায়... লোকে তখন নানা রকম ধারণা করে।
"আচ্ছা মামা, ভূত কি ভালো হয়?"
'জানিনা'
"মানুষ মরেই তো ভূত হয়।"
'হ্যাঁ, তা হয়। তবে তখন আর মানুষের গুণ থাকে না।'
আচ্ছা মামা, গরু-ছাগল মরলে কি ভূত হয়?
না। তা হয় না।
না। তা হয় না।
শুধু মানুষ কেন ভূত হয়?
জানিনা। চল! ঘুমোতে যাই। সাদমান ঘুমোতে যায়না। ভূত নিয়ে ভাবতে থাকে। সাদমানের মা এসে সাদমানকে পড়তে বলে যায়। ছুটিতে বেড়াতে এসেও সাদমানকে প্রতিদিন দু'ঘন্টা করে পড়তে হয় -এ নিয়ে সাদমানের খুব আক্ষেপ। সাদমান বসার ঘরে পড়ার বই নিয়ে বসেছে। মা যুক্তবর্ণ আর বেশকিছু টীকা দাগিয়ে দিয়ে গেছেন। এর মধ্যে সে মাত্র একটা পড়া মুখস্ত করেছে। পড়াগুলো বেশ কঠিন!
সাদমানের চোখে পানি চলে এল। তবে, মাঝরাতে ভূত দেখার কথা মনে হতেই চোখ-মুখে হাসির ছোঁয়া খেলে গেল। বাবার কাছে শুনেছে সে, ভূতেরা মাঝরাত্তিরে বের হয়। ভূতের প্রতি আগ্রহ দেখে ইস্কুলের পাঁজি বুল ওরফে মোটা নাবিদ তার নাম দিয়ে দিয়েছে, ছোট ভূত। জীবিত মানুষ কি কখনো ভূত হতে পারে। নাবিদের কথা মনে হতেই সাদমান ভাবলো, ইস! একবার যদি ভূতের সন্ধান পাওয়া যেত তাহলে ভূতকে দিয়ে নাবিদকে দারুণ জব্দ করে ফেলতাম। কঠিন কাগজগুলোও তাকে দিয়ে সমাধা করে নেয়াতাম।
সাদমান হঠাৎ উত্তর দিকের রুমটার দিকে তাঁকিয়ে হতভম্ব হয়ে গেল। ছয়-সাত বছর
বয়েসী দুষ্ট দুষ্ট চেহারার একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। খালি পা। পরনে সাইজে বড় ঢোলা একটা প্যান্ট। প্যান্ট খুলে খুলে পড়ার মতো হচ্ছে আর সে টেনে টেনে তুলছে। তার
গায়ে রঙচটা শাট। শার্টের কয়েকটা বোতাম
নেই। ময়লা ধরা উদোম শরীর। সাদমান ছেলের কাজ-কর্মগুলো দেখছে। ছেলেটা ছাঁদ থেকে সটান হয়ে শুয়ে পড়ে জানালা দিয়ে উত্তরের রুমটায় ঢুকে পড়ে। সাদমান ভেবেছিল চোর বলে সবাই ডেকে তুলবে কিন্তু সে থেমে যায়। ছেলেটা তার ঢোলা প্যান্টটা টেনে তুলতে তুলতে সাদমানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়।
'কি করছিস। কথা বলছিস না কেন? খেলবি?’
বয়েসী দুষ্ট দুষ্ট চেহারার একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। খালি পা। পরনে সাইজে বড় ঢোলা একটা প্যান্ট। প্যান্ট খুলে খুলে পড়ার মতো হচ্ছে আর সে টেনে টেনে তুলছে। তার
গায়ে রঙচটা শাট। শার্টের কয়েকটা বোতাম
নেই। ময়লা ধরা উদোম শরীর। সাদমান ছেলের কাজ-কর্মগুলো দেখছে। ছেলেটা ছাঁদ থেকে সটান হয়ে শুয়ে পড়ে জানালা দিয়ে উত্তরের রুমটায় ঢুকে পড়ে। সাদমান ভেবেছিল চোর বলে সবাই ডেকে তুলবে কিন্তু সে থেমে যায়। ছেলেটা তার ঢোলা প্যান্টটা টেনে তুলতে তুলতে সাদমানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়।
'কি করছিস। কথা বলছিস না কেন? খেলবি?’
সাদমার ভেবে পায়না, ছেলেটাই বা কে। কোথা থেকেই বা সে এলো। আবার তাকে কেনবা তুই তুই করে ডাকছে। বাড়ির সবাই তো তার নাম ধরে ডাকে। তার একটা সুন্দর নাম আছে। মুহাম্মদ সাদমান।
"আমাকে তুমি তুই তুই করে বলছো কেন?"
‘বন্ধুকে তুই তুই করে বলব না কাকে বলব!
বন্ধুকে বুঝি আপনি আপনি করে বলব?’
বন্ধুকে বুঝি আপনি আপনি করে বলব?’
"আমি তোমার বন্ধু না।"
‘বন্ধু না। এখন হবি ?’
"হুঁহ। কেন তোমার বন্ধু হব ?"
‘তোকে সাহায্য করব আমি তাই ! ’
"হুঁ। তুমি আমাকে চিনই না আবার সাহায্য করবে কেমন করে"
'গতবছর ট্রেনের প্লাটফর্মে তুই চিৎ-পটাং হয়ে তোর বাবার সাথে শুয়ে ছিলি, মনে আছে ?'
"তুমি এ কথা জানলে কেমন করে ?"
'আমি সব জানি। তুই একটু আগে ভূত দিয়ে নাবিদকে জব্দ করার চিন্তা-ভাবনা করছিলি তাই না !'
"ওমা, সত্যিই তো! তুমি দেখছি সব জানো"
'আমি আরো অনেক জিনিষ জানি'
এবার সাদমানকে একটু ভীত-সন্ত্রস্ত মনে হলো। তাকে দেখা গেল... সে বিড়বিড় করছে। মনে মনে কী যেন বলছে। মনে হয় ভূত তাড়ানোর মন্ত্র আওড়াচ্ছে। সাদমান লেখাপড়া ছেড়ে ছোট্ট ছেলেটার সাথে করিডোর ধরে হাঁটছে। এদিকে সাদমানের মা সাদমানের খোঁজ করতে এসে দেখে সাদমান ঘরে নেই। সাদমান ছোট্ট ছেলেটার পাশাপাশি হাঁটছে। উত্তরের রূমটায় তারা দু'জনে বসে গল্প করছে। এই যেমন ছেলেটা কি করে, সাদমান কি করতে ভালোবাসে এমনি ব্লা...ব্লা...ব্লা। সাদমান তার ইচ্ছের কথা জানায়। সে পাহাড় চড়তে ভালোবাসে। বড় হয়ে সে পাহাড় বাইতে চায় আর আস্বাদন করতে চায় সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠার স্বাদ। ছোট্ট ছেলেটা মুহুর্তেই সাদমানকে জ্যাকেট আর শীতের পোশাক নিয়ে তৈরী হয়ে যেতে বলে। হিমালয় চূড়া ঘুরে আসবে দু'জনে। ছেলেটা বিড়বিড়িয়ে কি যেন বলতে থাকে..পরক্ষণেই সাদমানের প্রচন্ড ঠান্ডা লাগতে শুরু করে, যেন বরফের টুকরো ভেঙে ভেঙে পড়ছে। সাদমান ছেলেটাকে বলে, তোমার নাম কি ? আমি তোমার বন্ধু হব।
'আমার নাম জানতে নেই ভয় পাবি যে'
"ভয় পাবো কিনা সে পরে দেখা যাবে"
'ঠিক আছে। জানতে যখন চাইছিস তো বলছি। কিন্তু, গুণাক্ষরেও কাউকে বলতে পারবি নে '
"আমার দিব্যি। যাহ্, কাউকে কিচ্ছুটি বলবো নে "
'আমার নাম সাদমান রাইয়্যান। পেলি তো ভয়'
কি ! আচ্ছা, তুমি তো মরে গেছ; কিন্তু তোমার চেহেরা তো আগের মতোই আছে কি করে!
দেখ , যখন বেঁচেছিলাম আমাকে সবাই
ছোট ভূত লেই সম্বোধন করত - তোকে একটা কথা বলি, মানুষ মরে গেলে তার দেহটা নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু যারা তাকে দেখেছে তাদের কাছে তার চেহারা ঠিক থেকে যায়।
ছোট ভূত লেই সম্বোধন করত - তোকে একটা কথা বলি, মানুষ মরে গেলে তার দেহটা নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু যারা তাকে দেখেছে তাদের কাছে তার চেহারা ঠিক থেকে যায়।
কিন্তু লোকে যে বলে, মানুষ মরে গেলে ভূত হয়ে যায়?
হ্যাঁ, কথাটা এক অর্থে সত্যি। যেমন ধর
গতকাল তুই স্কুলে গিয়েছিলি, সেই গতকালকে তো আর আজকে পাবি না, তা ভূত হয়ে গেছে - মানে গত হয়ে গেছে, চলে গেছে - যাকে আর কোনোদিন পাওয়া যাবে না। সেই অর্থে মানুষ মরে গেলে ভূত হয়। কিন্তু ভূত সম্বন্ধে যেসব বর্ণনা দেওয়া হয় সেগুলো মানুষের বানানো। ভূত মানে কদাকার কিছু নয়। বরং বলতে পারিস, জ্যান্ত মানুষ অনেক ভয়ংকর। রক্তপিপাসু। ছোট ছোট বাচ্চাদের নির্যাতন করে। লেখাপড়া করতে দেয়না। খারাপ খারাপ কাজ করায়। এই আরকি !
গতকাল তুই স্কুলে গিয়েছিলি, সেই গতকালকে তো আর আজকে পাবি না, তা ভূত হয়ে গেছে - মানে গত হয়ে গেছে, চলে গেছে - যাকে আর কোনোদিন পাওয়া যাবে না। সেই অর্থে মানুষ মরে গেলে ভূত হয়। কিন্তু ভূত সম্বন্ধে যেসব বর্ণনা দেওয়া হয় সেগুলো মানুষের বানানো। ভূত মানে কদাকার কিছু নয়। বরং বলতে পারিস, জ্যান্ত মানুষ অনেক ভয়ংকর। রক্তপিপাসু। ছোট ছোট বাচ্চাদের নির্যাতন করে। লেখাপড়া করতে দেয়না। খারাপ খারাপ কাজ করায়। এই আরকি !
সাদমানদের বাড়ির সামনে তখন বেশ ভিড়।
সারা ভুবনে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, সাদমানকে ভূতে নিয়ে গেছে। সবাই ভাবে,
এতক্ষণ ভূত নিশ্চয় সাদমানের ঘাড় মটকে রক্ত পান করে ফেলেছে। ভূতের সঙ্গে তো আর যুদ্ধ করা যায় না! কার কাছ থেকে সাহায্য নেবে কেউ ভেবে পায় না। সাদমানের মা এর মধ্যে দু-দুবার মূর্ছা গেছে, সবাই
তাকে নিয়ে ব্যস্ত। সাদমানের মামা তার যুক্তিবাদী মন দিয়ে কিছুতেই মানতে পারছে না, এমন ঘটনা কেমন করে হয়। আস্ত মানুষকে ভূত উধাও করে ফেলে !
সারা ভুবনে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, সাদমানকে ভূতে নিয়ে গেছে। সবাই ভাবে,
এতক্ষণ ভূত নিশ্চয় সাদমানের ঘাড় মটকে রক্ত পান করে ফেলেছে। ভূতের সঙ্গে তো আর যুদ্ধ করা যায় না! কার কাছ থেকে সাহায্য নেবে কেউ ভেবে পায় না। সাদমানের মা এর মধ্যে দু-দুবার মূর্ছা গেছে, সবাই
তাকে নিয়ে ব্যস্ত। সাদমানের মামা তার যুক্তিবাদী মন দিয়ে কিছুতেই মানতে পারছে না, এমন ঘটনা কেমন করে হয়। আস্ত মানুষকে ভূত উধাও করে ফেলে !
সাদমান উত্তর দিকের রুম থেকে বের হয়ে কারো সঙ্গে কোনো কথা বলল না। ধীরপায়ে সোজা দু'পা পিছিয়ে গেল। তারপর দরজার দুই পাল্লার মাঝে মুখ লাগিয়ে বলে, বন্ধু, তুমি ঘরে আছো?
ঘরের ভেতর থেকে চাপা স্বর ভেসে আসে, আছি, বন্ধু।
বন্ধু তাহলে তোমার ঘরে বাতি জ্বলছে না কেন?
আমি তো অন্ধকারে থাকি। তুমি আলোয়
আমাকে দেখতে পাবে না।
আমাকে দেখতে পাবে না।
সাদমানকে উত্তরের রুমের সামনে থেকে পাঁচকোলা করে তুলে আনেন সাদমানের মামা। পরে জানতে চাইলে, সাদমান কিছুই বলেনা। সাদমান শুধু জানতে চায় রঙচটা শার্টপড়া ছেলেটা কি আদৌ তাদের বাড়িতে এসেছিল। বাড়ির সবাই সাফ সাফ জানিয়ে দেয় ওমন ছেলে সম্পর্কে কেউ কিচ্ছু জানেনা !