খলিলের নির্বাচিত কার্টুন
বিডি.টুনসম্যাগ.কম, শিমুল বিশ্বাস : একটি কার্টুন হাজার কথা বলে। একটি ঘটনার পুরো চিত্র একজন কার্টুনিস্ট চিত্রায়িত করতে পারেন ছোট্ট একটি কা...
https://bd.toonsmag.com/2014/10/blog-post_20.html
বিডি.টুনসম্যাগ.কম, শিমুল বিশ্বাস : একটি কার্টুন হাজার কথা বলে। একটি ঘটনার পুরো চিত্র একজন কার্টুনিস্ট চিত্রায়িত করতে পারেন ছোট্ট একটি কার্টুনে। তুলির আঁচড়ে মত প্রকাশের এ সৃজনশীল মাধ্যমটি আমাদের সবার প্রিয়। কার্টুন শুধু আনন্দই দেয় না, বরং একটি ঘটনার অনেক গভীরে নিয়ে যায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাবলির অন্তরালের রহস্যকে একজন কার্টুনিস্ট পরোক্ষভাবে কার্টুনের মাধ্যমে দেখাতে পারেন, যা কোনো দীর্ঘ প্রতিবেদনেও অনেক সময় সম্ভব হয় না। পত্রিকার চার কলাম একটা কার্টুনে যা বোঝানো যায় অনেক সময় তা চার পৃষ্ঠা লিখেও বোঝানো কঠিন! আর এ কারণে পাঠকদের কাছে কার্টুন অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আমাদের সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় রাজনৈতিক কার্টুন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। যাদের কার্টুন আমাদের ভাবনাকে আন্দোলিত করে তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম খলিল রহমান। বিভিন্ন সময় তার রাজনৈতিক কার্টুন আলোচনায় উঠে এসেছে। ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আঁকা তার বেশকিছু কার্টুন ছিল আলোচনার শীর্ষে।
সাম্প্রতিক সময়েও তার একাধিক কার্টুন আলোচনায় আসে। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন ও সরকারি দলের প্রতিরোধে সারা দেশ হয়ে ওঠে অশান্ত। চারদিকে আগুন, পেট্রল বোমা, আর পুলিশের গোলাগুলি। রাজনৈতিক এই সহিংসতায় আমাদের গণতন্ত্র কতটা বিপন্ন তা কার্টুনিস্ট খলিল তার একটি কার্টুনে দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে তিনি তুলনা করেছেন পাখির ছানার সঙ্গে, যে ছানা এখনও উড়তে শেখেনি। এ পাখাহীন পাখির ছানার বাসায় রাজনৈতিক সহিংসতার আগুন লেগেছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে বাসাটি। আর পাখাহীন এই শিশু গণতন্ত্র সহিংসতার আগুন থেকে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কার্টুনিস্ট খলিল তার আরেকটি কার্টুনে বিরোধী দলের নির্বাচন প্রতিরোধের চেষ্টা ও সরকারি দলের প্রতিরোধের মুখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘটনার পুরো চিত্রটি তিনি অত্যন্ত চমৎকারভাবে চিত্রায়িত করেছেন। হরতাল-অবরোধের আগুনে পুড়ছে একটি বাঁশের সাঁকো। সাঁকোটির ওপাশেই নির্বাচনের মাঠ। একদিকে আগুনে জ্বলছে সাঁকোটি, অন্যদিকে নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনের একটি দড়ি দিয়ে টেনে ধরেছে শেখ হাসিনাকে। কিন্তু ওই জ্বলন্ত সাঁকো দিয়েই বিরোধী জোটের নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনের দড়ি ছিঁড়ে নির্বাচনের মাঠে পৌঁছে গেছেন তিনি। এ রকম ৪৮টি কার্টুন নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে কার্টুনিস্ট খলিলের প্রথম বই ‘খলিলের নির্বাচিত কার্টুন’। বইটিতে তার কার্টুন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য লিখেছেন কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী (রনবী), শিশির ভট্টাচার্য, বিশ্ববিখ্যাত কার্টুনিস্ট রানান লুরি, লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকার এডিটরিয়াল কার্টুনিস্ট মার্টিন রওসন, আমেরিকার পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত এডিটরিয়াল কার্টুনিস্ট স্টেভ স্যাক ও সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের পলিটিক্যাল কার্টুনিস্ট হ্যারি হ্যারিসন।
আর্ট পেপারে ছাপা রঙিন ও সাদাকালোর সমন্বয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার বইটি দেখতেও নান্দনিক। বইটিতে স্থান পেয়েছে বেশিরভাগই রাজনৈতিক কার্টুন। তবে অন্যান্য বিষয়ও প্রাধান্য পেয়েছে।
দুই নেত্রীর কাদা ছোড়াছুড়ি, রাজনৈতিক সংকট, এরশাদের দ্বিমুখী আচরণ, জামায়াতের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন, দুর্নীতি দমন কমিশন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ঢাকার যানজট ও লোডশেডিংসহ বিভিন্ন বিষয় কার্টুনিস্ট খলিলের কার্টুনে উঠে এসেছে।
এছাড়াও বইটিতে বুশের ইরাক যুদ্ধ, রাশিয়ার ক্রাইমিয়া দখল, মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে অপসারণ, গাদ্দাফির পতনসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক বিষয়ও তার কার্টুনে স্থান পেয়েছে। বইটি পাওয়া যাচ্ছে রকমারি ডট কমে। মূল্য ১৫০ টাকা।
আমাদের সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় রাজনৈতিক কার্টুন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। যাদের কার্টুন আমাদের ভাবনাকে আন্দোলিত করে তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম খলিল রহমান। বিভিন্ন সময় তার রাজনৈতিক কার্টুন আলোচনায় উঠে এসেছে। ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আঁকা তার বেশকিছু কার্টুন ছিল আলোচনার শীর্ষে।
সাম্প্রতিক সময়েও তার একাধিক কার্টুন আলোচনায় আসে। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন ও সরকারি দলের প্রতিরোধে সারা দেশ হয়ে ওঠে অশান্ত। চারদিকে আগুন, পেট্রল বোমা, আর পুলিশের গোলাগুলি। রাজনৈতিক এই সহিংসতায় আমাদের গণতন্ত্র কতটা বিপন্ন তা কার্টুনিস্ট খলিল তার একটি কার্টুনে দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে তিনি তুলনা করেছেন পাখির ছানার সঙ্গে, যে ছানা এখনও উড়তে শেখেনি। এ পাখাহীন পাখির ছানার বাসায় রাজনৈতিক সহিংসতার আগুন লেগেছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে বাসাটি। আর পাখাহীন এই শিশু গণতন্ত্র সহিংসতার আগুন থেকে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কার্টুনিস্ট খলিল তার আরেকটি কার্টুনে বিরোধী দলের নির্বাচন প্রতিরোধের চেষ্টা ও সরকারি দলের প্রতিরোধের মুখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘটনার পুরো চিত্রটি তিনি অত্যন্ত চমৎকারভাবে চিত্রায়িত করেছেন। হরতাল-অবরোধের আগুনে পুড়ছে একটি বাঁশের সাঁকো। সাঁকোটির ওপাশেই নির্বাচনের মাঠ। একদিকে আগুনে জ্বলছে সাঁকোটি, অন্যদিকে নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনের একটি দড়ি দিয়ে টেনে ধরেছে শেখ হাসিনাকে। কিন্তু ওই জ্বলন্ত সাঁকো দিয়েই বিরোধী জোটের নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনের দড়ি ছিঁড়ে নির্বাচনের মাঠে পৌঁছে গেছেন তিনি। এ রকম ৪৮টি কার্টুন নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে কার্টুনিস্ট খলিলের প্রথম বই ‘খলিলের নির্বাচিত কার্টুন’। বইটিতে তার কার্টুন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য লিখেছেন কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী (রনবী), শিশির ভট্টাচার্য, বিশ্ববিখ্যাত কার্টুনিস্ট রানান লুরি, লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকার এডিটরিয়াল কার্টুনিস্ট মার্টিন রওসন, আমেরিকার পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত এডিটরিয়াল কার্টুনিস্ট স্টেভ স্যাক ও সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের পলিটিক্যাল কার্টুনিস্ট হ্যারি হ্যারিসন।
আর্ট পেপারে ছাপা রঙিন ও সাদাকালোর সমন্বয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার বইটি দেখতেও নান্দনিক। বইটিতে স্থান পেয়েছে বেশিরভাগই রাজনৈতিক কার্টুন। তবে অন্যান্য বিষয়ও প্রাধান্য পেয়েছে।
দুই নেত্রীর কাদা ছোড়াছুড়ি, রাজনৈতিক সংকট, এরশাদের দ্বিমুখী আচরণ, জামায়াতের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন, দুর্নীতি দমন কমিশন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ঢাকার যানজট ও লোডশেডিংসহ বিভিন্ন বিষয় কার্টুনিস্ট খলিলের কার্টুনে উঠে এসেছে।
এছাড়াও বইটিতে বুশের ইরাক যুদ্ধ, রাশিয়ার ক্রাইমিয়া দখল, মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে অপসারণ, গাদ্দাফির পতনসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক বিষয়ও তার কার্টুনে স্থান পেয়েছে। বইটি পাওয়া যাচ্ছে রকমারি ডট কমে। মূল্য ১৫০ টাকা।