অটিস্টিক শিশুর রঙ পেন্সিলে বঙ্গবন্ধু

বিডি.টুনসম্যাগ.কম প্রতিযোগিতা মানেই পরীক্ষা। তেমনই একটা ভাব ছিল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ আয়োজিত চিত্রা...

বিডি.টুনসম্যাগ.কম

প্রতিযোগিতা মানেই পরীক্ষা। তেমনই একটা ভাব ছিল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায়। শতাধিক শিশু যখন নিবিষ্ট মনে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ছবি আঁকায় ব্যস্ত, তখন ব্যতিক্রম চিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ক্যাফেটারিয়ার কোণার সারিতে। সেখানে বসা ১৫ শিশুর কোনো তাড়া নেই!

এরা সবাই যে অটিস্টিক শিশু। শারীরিক ও মানসিকভাবে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে। অভিভাবকরা তাদের তাগিদ দিচ্ছেন দ্রুত ছবি আঁকা শেষ করতে। কিন্তু কাজে আসছে না। একবার খাতায় তুলির আঁচড় দিচ্ছে তো পরক্ষণেই দেখছে আশপাশের লোকজনকে। এরই মধ্যে সময় শেষ হলো। অন্যদের সঙ্গে জমা পড়ল তাদের খাতাও। দেখা গেল তাদেরই একজন রঙ পেন্সিলে এঁকেছে কালো কোটের বঙ্গবন্ধুকে! আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা হাস্যোজ্জ্বল বঙ্গবন্ধু। অটিজম এই শিশুটির শারীরিক আর মানসিক বিকাশ বন্ধ করলেও, রুখতে পারেনি মনকে।

'বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম' শীর্ষক এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় নার্সারি থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ৪টি গ্রুপে শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেয়। অটিস্টিক শিশুদের জন্য ছিল আলাদা প্রতিযোগিতার সুযোগ।
প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, শেখ রাসেল ছবি আঁকা পছন্দ করতেন। বাংলার নদী-নালা, পাখি, ফুল, ফল ১০ বছরের রাসেলের হৃদয়জুড়ে ছিল। অটিস্টিক শিশুদের আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবিতে বিস্মিত মন্ত্রী নিজেও। বললেন, কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই এই শিশুরা। বঙ্গবন্ধুর ছবিই তার প্রমাণ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সুলতানা শফি।

'বঙ্গবন্ধু :তরুণ প্রজন্মের ভাবনা' :জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে 'বঙ্গবন্ধু :তরুণ প্রজন্মের ভাবনা' শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। শনিবার সেগুনবাগিচায় জাদুঘর মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী দিয়ে সাজানো হয় এ আয়োজন।
শুরুতেই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, একাত্তরের শহীদ পরিবারের সদস্য ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি পাল।
আলোচনা শেষে ছিল গান ও কবিতায় সাজানো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। একক কণ্ঠে রবিশঙ্কর মৈত্রী আবৃত্তি করেন রবীন্দ্র গোপের 'অর্ধনমিত পতাকা' ও সাবিরা মাহবুব জনি শামসুর রাহমানের 'ধন্য সেই পুরুষ'। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা। তারা পরিবেশন করে 'রুখে দাঁড়াও, রুখে দাঁড়াও' ও 'আমরা সবাই বাঙালি'। একক গান 'মুজিব বাইয়্যা যাওরে' পরিবেশন করেন শিমুল সাহা। সূত্র : সমকাল 

এই বিভাগে আরো আছে

সংবাদ 1061484651779464810

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সঙ্গে থাকুন

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক

বৈশিষ্ট্যযুক্ত

বিশ্বসেরা ১০ কার্টুনিস্ট

শিল্পী রফিকুননবী সাধারণ মানুষের কাছে যতটা না তার ফাইন আর্টসের জন্য পরিচিত, তার চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় তার ‘টোকাই’ কার্টুন চরিত্রের জন্য। এ ...

-

  • ফেসবুকে অনুসরণ করুন

    আঁকা-আঁকি আহ্ববান

    আপনার আঁকা, মজার মজার লেখা, ছবি আঁকার কলা-কৌশল, শিল্পীর জীবনী, প্রবন্ধ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অথবা প্রদর্শনীর সংবাদ টুনস ম্যাগে ছাপাতে চাইলে পাঠিয়ে দিন। আমাদের ইমেইল করুন- [email protected] এই ঠিকানায়।

    সহায়তা করুন

    item